অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ হত্যায় সাজ্জাপ্রাপ্ত আসামি ১৮ বছর পর গ্রেফতার
চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মহুরী হত্যা মামলায় ১৮ বছর ধরে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর কোতোয়ালী থানার জামালখান রোডে নিজ বাসায় নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী উমা মুহুরি। এরপর ২০০৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল মোট ১২ জন আসামির মধ্যে মহিউদ্দিনসহ ৪ জনের ফাঁসির আদেশ দেন এবং ৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বাকি ৪ জন আসামি বিচার চলাকালীন সময়ে মারা যান।
তিনি বলেন, দণ্ডিত ৮ জন আসামির মধ্যে ৬ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। অন্য ২ জনের মধ্যে ১ জন ইউরোপে পালিয়ে আছেন। আর মহিউদ্দিন ২০০৩ সালে এ মামলার রায় হওয়ার পরে দুবাই পালিয়ে যায়। তাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
র্যাব কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার বলেন, দীর্ঘদিন দুবাই থাকার পরে গত বছরের ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন বাংলাদেশে আসে। এসেই আত্মগোপন করতে থাকে। মহিউদ্দিন বাংলাদেশে আসার সংবাদ পেয়ে আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ও কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখে।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও কঠোর নজরদারির একপর্যায়ে র্যাব জানতে পারে, মহিউদ্দিন রোববার ফের দুবাই পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছে। দুবাই যাওয়ার জন্য সে শনিবার করোনা টেস্টের জন্য নমুনাও দিয়েছিল। এরপর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মহিউদ্দিন দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে-বিদেশে পলাতক ছিল। সে চট্টগ্রামের একসময়ের ত্রাস খুনি, কুখ্যাত নাসির গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এবং নাসিরের আপন ছোট ভাই। নাসির বর্তমানে কারাগারে আছে।
কেএম/জেডএস