কাশিমপুর কারাগার : ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ‘দুর্নীতির আখড়া কাশিমপুর কারাগার, ফোন ব্যবহার করেন কয়েদিরা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ পাঠিয়েছে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, সংবাদে প্রকাশিত দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের পরিদর্শনকালে কোনো কারারক্ষীর বন্দিদের নিকট মোবাইল দেওয়া কিংবা স্ক্যানিং-এর মাধ্যমে মোবাইল উদ্ধারের তথ্য সত্য নয় এবং এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ কারাগারে একজন সহকারী সার্জন ও ডিপ্লোমা নার্স কর্মরত আছেন। পরিদর্শনকালে উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। এ কারাগারের বন্দি ধারণ ক্ষমতা এক হাজার জন, আটক বন্দির সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৫ জন। তথাপিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দি আটক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কোনো বন্দি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়নি। পরিদর্শনকালে দুপুরের খাবার রান্না শেষে বিতরণ কার্যক্রম ও রাতের খাবার রান্নার কাজ চলমান ছিল। রান্নাঘরে নোংরা পরিবেশ কখনোই থাকে না । ক্যান্টিনের টাকা জমা নেওয়ার সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। এমন কোনো অভিযোগ ইতোপূর্বে কিংবা পরিদর্শন টিমের নিকট কেউ করেনি। এ ধরনের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এমন মিথ্যা সংবাদ কারা বিভাগকে হেয় করার সামিল।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদক ও দুদকের বক্তব্য
গত ১২ জানুয়ারি দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান শেষে দুদকের জনসংযোগ দফতর ও দুদকের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা। সেখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। দুদকের ফেসবুক পেইজে এখনও তা দৃশ্যমান। প্রতিবেদনে দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের বক্তব্যও যুক্ত রয়েছে।
কারাগার কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ লিপি পাওয়ার পর ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে দুদকের জনসংযোগ দফতর ও দুদক এনফোর্সমেন্টে ইউনিটের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেখানে দুদক কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। বরং তারা বলেছে, এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে, গণমাধ্যমে তাই বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম যে কাজটি করেছে, পরবর্তীতেও তাদের কাজের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করবে। কে, কীভাবে নিলে বা কী বললো সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। আমাদের তদন্তকারী বা অনুসন্ধান টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরএম/এনএফ