লাউতলা খাল উদ্ধারে ডিএনসিসির অভিযান
অবৈধ দখলদারদের কোনো নোটিশ নয় : মেয়র আতিক
রাজধানীর বসিলা এলাকায় লাউতলা খালের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিল অবৈধ স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
আজ (রোববার) সাড়ে ১১টার দিকে এই অভিযান শুরু করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে অভিযানটি পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানের শুরুতে খালের জায়গার ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণাধীন একটি মার্কেটের দোকান প্রথমে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হবে।
অভিযান প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখলদারদের জন্য সিটি করপোরেশন কোনো বৈধ নোটিশ দেবে না। যারা অবৈধ জায়গা দখল করেছে তারা কিন্তু ঠিকই জানে যে তারা অবৈধভাবে দখল করেছে। তাই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা কোনো বৈধ নোটিশ দেব না। যে যত বড়ই ক্ষমতাবান হোক, তারা কেউ অবৈধভাবে কোনো কিছু দখলে রাখতে পারবে না। আমরা অভিযান শুরু করেছি, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ঢাকা মহানগরীতে প্রধান ড্রেন লাইনগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। আর শাখা লাইনগুলোর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত ছিল।
দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ১১ মাসে ডিএনসিসির আওতায় থাকা খালগুলো থেকে ৭৯ হাজার টনের বেশি ক্ষতিকর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
খাল উদ্ধার করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি খালের রূপ বদলে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। সে অনুযায়ী কাজ করছে সংস্থাটি। সাগুফতা খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, গোদাগারি খাল, রূপনগর খালসহ ১৪টি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণে বেশ কিছু কাজ করেছে ডিএনসিসি। চারটি নদীর সাথে এ খালগুলোর সংযোগ স্থাপন করতে চায় ডিএনসিসি।
এএসএস/এনএফ