বেড়েছে ওএমএস’র আওতা
খোলা বাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) আওতা বাড়িয়েছে সরকার। ভ্রাম্যমাণ আরও চারটি ট্রাকের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চাল বিক্রি করছে খাদ্য অধিদফতর। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় এ কার্যক্রম।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ট্রাক প্রতি দৈনিক আরও ৩ মেট্রিক টন করে ১২ টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওএমএস খাতে ঢাকা মহানগরে এ, বি, সি ক্যাটাগরিতে ১২৪ বিক্রয়কেন্দ্রে দৈনিক এক থেকে দেড় টন আটা এবং এক টন চাল বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে শ্রমঘন ৪ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর) মোট ১৪৭ কেন্দ্রে দৈনিক ২ টন করে আটা এবং এক টন করে চাল বিক্রি করা হয়।
এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে মোট ৪৩২ বিক্রয় কেন্দ্রে দৈনিক এক টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বিক্রি হয়ে আসছে। ইনোভেশন কার্যক্রমের আওতায় সচিবালয়ে দৈনিক ২ টন এবং মতিঝিল ও আজিমপুর এলাকায় দৈনিক কেন্দ্র প্রতি ১ টন করে প্যাকেট আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের খাদ্যসহায়তা দিতে গত বছরের এপ্রিলের শুরুতে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ টাকা কেজি দরের বিশেষ ওএমএস’র চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন থেকে করোনাভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা এবং কিছু জায়গায় চাল নিয়ে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ ও ধরপাকড়ের মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল ওই কার্যক্রম স্থগিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর কার্ডের মাধ্যমে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম ফের চালু করতে ১৬ এপ্রিল নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সরকারের কমিটি রয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে চলে বিভাগীয় কমিটি আর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে চলে জেলা কমিটি।
এসএইচআর/এসএম