করোনার কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে
নদী ও খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে লেংগ্যা-শিকলবাহা চৌমুহনী নয়াহাট খাল পুনঃখনন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
জাহিদ ফারুক বলেন, মানবিক কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারণ যেসব স্থাপনা রয়েছে সেখানে অনেক মানুষের বসবাস। উচ্ছেদ কার্যক্রমের চালালে তাদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। সারাদেশে ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় প্রথম ধাপে পাঁচ শতাধিক খাল খনন চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই খননকাজ শেষ হবে। পর্যায়ক্রমে পরিকল্পিত সব খালের খনন শেষ করা গেলে দেশে বর্ষায় বন্যার প্রভাব কমবে।
ডেলটা প্ল্যানের আওতায় সারাদেশে ৫১২টি মরা খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। তারপরে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, শিকলবাহা খালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ শুরু করেছিলাম।এটা খাল ছিল না, এটা পুরাটাই ভরাট ও অবৈধ স্থাপনা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। খননকাজ শেষ হলে এ খালের পানি লোকজন ব্যবহার ও শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।
এ সময় কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের পৌর বিভাগ এককের কর্মকর্তা সিজেন চাকমা ও মো. মানজুর এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/এসকেডি