করোনা সচেতনতায় ৮ ইউনিটে চট্টগ্রামে সরকারি নির্দেশনা প্রচার
চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তারপরও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি পালনে রয়েছে অনীহা। করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনসচেতনতা বাড়াতে সরকারের নির্দেশনাগুলো মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আটটি ইউনিটের মাধ্যমে একযোগে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ড মাইক দিয়ে জনসাধারণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্টাফ অফিসার টু ডিসি পিযুষ কুমার চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার ভয়াবহতা জানিয়ে জনসাধারণকে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা প্রতিপালন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে মাইকিং করে। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে আটটি ইউনিটের মাধ্যমে গত দুই দিন ধরে আমাদের প্রচারণা চলছে। এছাড়া রাস্তায় পথচারীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
মাইকিং করে নিম্নের ছয় দফা উল্লেখ করা মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। সেগুলো হলো—
১। দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
২। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৩। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪। ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫। সব গাড়ির চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদ থাকতে হব।
৬। কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
চট্টগ্রামে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) নতুন করে আরও ৯৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন। এর আগে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৮৯ জন।
কেএম/এসএসএইচ