গার্মেন্টসের চারটি পণ্য চালানের মাধ্যমে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করেছে রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামে এক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের অপচেষ্টা উদঘাটন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। 

বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে চালানগুলো ফিলিপাইন রফতানির জন্য কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য লোড করা হয়। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারটি চালান আটক করা হয়। পরে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। 

তিনি বলেন, চারটি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। রফতানিকারক ঘোষিত ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের (প্রতি চালানে ৬ হাজার ৮৬ পিস) বিপরীতে  ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা পেত প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এআইআরের কায়িক পরীক্ষা শেষে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস গার্মেন্টস পণ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ পণ্যের সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ রফতানিকারক এ চার চালানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করেন।
 
তিনি জানান, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রফতানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রফতানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

কেএম/এসএম