সব সরকারি হাসপাতালে কোভিড-নন কোভিড জরুরি চিকিৎসা
নতুন করে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ৫ সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড সব রােগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাে. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৩তম সভা জুম প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ রােগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলােচনা হয়। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলােচনা শেষে ৫ পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরইমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালগুলোকে উভয় সেবা দেওয়ার প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর রোগীবহুল মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উভয় সেবা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বুধবার এক স্বাস্থ্য বার্তায় বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে কোভিড ডেডিকেটেড যেসব শয্যা আছে, সেগুলোর মধ্যে ঢাকার ৪ হাজার ৬৮৬টি শয্যার বিপরীতে ৩ হাজার ৭১০টি শয্যা এখনো খালি আছে। নতুন করে করোনায় রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির সংখ্যা সে অনুপাতে বাড়েনি।
আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই উল্লেখ করে নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের অক্সিজেনের সংকট নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর- এগুলো প্রয়োজন অনুপাতে যথেষ্ট পরিমাণ মজুত আছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যে পরিসংখ্যান দেখেছি, বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমেই রোগীরা সংক্রমিত হচ্ছেন বেশি। আমরা পূর্ববর্তী সময়ে দেখেছি, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডব কী পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারে। ওমিক্রনের সংক্রমণও আমাদের দেশে ঘটেছে এবং রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।
এসএম