মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। এজন্য কালুরঘাটসহ চট্টগ্রামে দুটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। 

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তিনদিনের ডিসি সম্মেলনর দ্বিতীয় সেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে আমাদের নানান স্মৃতি রয়েছে। বিশেষ করে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে ওই জেলার ডিসি স্মৃতিস্তম্ভ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি জেলা প্রশাসককে বলেছি, যদি জায়গার ব্যবস্থা হয় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এর আগে আমি চট্টগ্রাম ভিজিটের সময়ও আমাকে ডিসি সাহেব এ বিষয়টি বলেছিলেন। এখন ডিসি সাহেব প্রস্তাব পাঠালে ঐতিহাসিক জায়গা কালুরঘাট ও কাকতলী মৌজায় স্মৃতিস্তম্ভ দুটি করা হবে। 

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে দুটি প্রস্তাব দিয়ে এসেছি। সাব রেজিস্ট্রি অফিসটা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলে ভালো হয়। সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। সেজন্য এর কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলে এর কাজ আরও বেগবান হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমার আরেকটা প্রস্তাব ছিল এনবিআরের কাছে। আমরা যে পণ্য কিনি, সবাইকে সেসব পণ্যে ভ্যাট দিতে হয়। দোকানদাররা তা সরকারকে  দেয় কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমি প্রস্তাব দিয়েছি, সরকার যদি সব দোকানদারদের ইএফটি মেশিন সাপ্লাই দিতে পারে, তাহলে যথাযথ ভ্যাট সরকার পাবে।

এবার ডিসি সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। মহামারির কারণে দুই বছর পর এই সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলন শেষ হবে ২০ জানুয়ারি। ডিসি সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। পরে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এবার ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। 

সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলন করা হয়ে থাকে।

এসআর/এইচকে