পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সুসংবাদ পেল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ৩৮ হাজার সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক। পুলিশ ভেরিফিকেশন (পুলিশি যাচাই) চলমান রেখেই তাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশনা দেওয়া হবে। তবে নিয়োগের পর পুলিশ ভেরিফিকেশনে কারও বিরুদ্ধে আপত্তিকর কিছু আসলে তাদের নিয়োগ বাতিল হবে।
এমন খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা। তাদের একজন শান্ত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন পর হলেও তারা ৩৮ হাজার শিক্ষিত বেকারের কষ্ট অনুধাবন করেছেন।
‘বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই এনটিআরসিএ'র নতুন সচিবকে, যিনি দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, নিয়োগ প্রক্রিয়া চাপ ও প্রভাবমুক্ত থাকবে এবং স্বচ্ছ হবে।'
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলছে। শিক্ষকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এতে সময় লাগছে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করবে এনটিআরসিএ।
জানা যায়, গত বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। বিভিন্ন সময় নিবন্ধনের জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন অনেক প্রার্থী। তাদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয় সরকার।
আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ বাদ রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয় হাজার প্রার্থী ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ না করে পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।
এএজে/এমএআর/