দৃশ্যমান কোনো কারচুপি না হলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম এ কথা বলেন।

নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার বা নির্বাচন কমিশন দৃশ্যমান কোনো কারচুপি না করলে বা নির্বাচনে দৃশ্যমান কোনো কারচুপি না হয়ে থাকলে জনগণের যেকোনো রায় মেনে নেব’।

তিনি বলেন, ‘গোলযোগ ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে নির্বাচনে বিতর্কিত কিছু হয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে। কারণ ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিষয়ে আমাদের শঙ্কা আছে।’

এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পুরো সিটির নির্বাচনই ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই নাসিক নির্বাচন শেষ হয়। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

নারায়ণগঞ্জ শহরে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন নারী ভোটার। এছাড়া ৪ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন।

এমএসি/এসএম