স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম

নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এর মধ্যেই অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে। দুই সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা শুরুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হলে প্রকাশক-বিক্রেতাদের করোনার দুই ডোজ টিকা নিতে হবে।

রোববার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ কথা জানান অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বইমেলায় প্রকাশক ও বিক্রেতাদের অবশ্যই দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। সম্ভব হলে বুস্টার ডোজ নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে করোনার ঊধ্বর্মুখী সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বইমেলার সময়সীমা পেছানোও যেতে পারে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে গত এক সপ্তাহে ২০ হাজার ২৮০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শতকরা হিসাবে এটি ২২২ শতাংশ। একইসঙ্গে এই সময়ে মৃত্যু বেড়েছে ৬১ শতাংশ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধির কোন বিকল্প নেই। 

টিকা নেওয়ার হার বাড়াতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে যত সংখ্যক মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তত সংখ্যক মানুষ টিকা নিচ্ছেন না। তাই আগ্রহের জায়গাটি বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ে তাদের নামের তালিকা পাঠিয়ে নিবন্ধনের আহ্বান জানান অধিদফতরের এ মুখপাত্র।

এদিকে, সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গণমাধ্যমকে জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা স্থগিত করা হয়েছে। এরপর মেলার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে দুপুরে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে মেলা পেছানোর বিষয়টি শুনেছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। 

২০২১ সালেও নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি বইমেলা। সেবার মেলা শুরু হয় ১৮ মার্চ। গত বছরের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ কম থাকায় পরিস্থিতি দৃশ্যত স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। সে ধারায় নির্ধারিত সময়ে এবার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাও। তিন দিনের ট্যাব ও স্মার্টফোন মেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

টিআই/আরএইচ