সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিল চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আন্দোলনকারীরা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন। এতে আশেপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েক দফা অনুরোধের পরও আন্দোলনকারীরা রাস্তা না ছাড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ নিয়োগ পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, একই সময়ে একাধিকবার নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, গত বছরের ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘ব্যাকডেট’র মাধ্যমে বয়স ছাড়ের প্রজ্ঞাপনকে প্রহসনমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে তারা বলেন, এটি সব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক পদ্ধতি রূপে প্রতীয়মান হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যাকডেট দিয়ে বয়স সমন্বয় করায় শুধুমাত্র যাদের বয়স ৩০+ শুধু তারাই উপকৃত হচ্ছেন। ২১ মাসের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ৪ মাস। কারণ ব্যাকডেটের বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ নির্ধারণ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মোট ২১ মাস সময় ধরা হলেও এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় অক্টোবর ২০২১ এবং কার্যকর হয় সেপ্টেম্বর ২০২১।

হাতেগোনা কয়েকটি বিজ্ঞপ্তিতে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির। ব্যাকডেট দেওয়ার মাধ্যমে সব বয়সী শিক্ষার্থী তথা চাকরি প্রত্যাশীদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

আন্দোলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে নেতৃত্বে রয়েছেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ওমর ফারুক, মানিক হোসেন রিপন, সাদেকুল মিলন, নিতাই সরকার, তাসলিমা লিমা তানভির হোসেন, আনোয়ার সার্কিন, ইমতিয়াজ হোসেন, ইবনে তানজির, এম এ আলী, অক্ষয় রায়, ফকির আল মামুন, শারমিন সুলতানা, সুমনা রহমান, মার্জিয়া মুন, সায়রা হক, সাজিদ রহমান, মইনুল হোসেন প্রমুখ।

এসময় তারা তাদের দাবির পক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া তারা ‘ভেঙে ফেল বয়সের শৃঙ্খল আয়রে সব তরুণ দল’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বয়স বৃদ্ধি দরকার’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মুজিববর্ষের উপহার বয়স বৃদ্ধি দরকার’, ‘ছাত্র সমাজের দাবি বয়স বৃদ্ধি’, ‘তারুণ্যকে বয়সের ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায় না’, ‘২১ মাসের প্রহসন মানি না, মানব না’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এইচআর/ওএফ