অবৈধ সম্পদ অর্জন
ডিএনসিসির সাবেক কাউন্সিলর রাজীবের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল মো. তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সংস্থাটির উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ চৌধুরী আদালতে ওই চার্জশিট দাখিল করেন। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায় ,আগামী ২৩ জানুয়ারি এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত রয়েছে। ওই দিন আদালত মামলাটির আইনগত কার্যক্রম শুরু করবেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর মো. তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়। তবে চার্জশিটে অবৈধ সম্পদের টাকার অংক প্রায় ৬ গুন কমে যায়। চার্জশিটে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়।
২০১০ সালের ৩০ জুন থেকে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ওই অবৈধ সম্পদ অর্জনের সময়কাল উল্লেখ করা হয়। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামির বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কাউন্সিল রাজীবকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। এ দুই মামলায় ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে।
এছাড়া ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় রাজীবের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের আরেকটি মামলা করা হয়। মামলায় বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ওই সব মামলায় আসামি রাজীবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে- প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও নেতৃত্বে তার নিয়ন্ত্রণাধীন মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড, বসিলা বাসট্যান্ড, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে সুইচ গেইট পর্যন্ত রোডের দুপাশের ফুটপাত, সরকারি জমির ওপর অবৈধ দোকান, টেম্পো স্ট্যান্ড, অটো রিকশাস্ট্যান্ড, ইজি বাইক স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড, পিকআপ স্ট্যান্ড, ঢাকা উদ্যান. চাঁদ উদ্যান, নবীনগর, তুরাগ, একতা হাউজিং এলাকায় বিভিন্ন ধরণের চাঁদা তোলা, ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্বল্প মূল্যে জমি বিক্রি করার জন্য বাধ্য করা ও অবৈধ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নামে বেনামে বাড়ী, ফ্ল্যাট ও অর্থের মালিক হওয়া।
আরএম/এসকেডি