মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি অর্ধেকের বেশি কমিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতদিন ১০০ সিসি বা এর কম ইঞ্জিন শক্তির মোটরসাইকেলের নিবন্ধনে খরচ পড়ত চার হাজার ২০০ টাকা। এখন তা দুই হাজার ২০০ টাকা কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া ১০০ সিসির উপরে হলে আগে খরচ পড়ত পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা, এখন তা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার টাকায়

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম হলে পূর্বনির্ধারিত শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন ফি  চার হাজার ২০০ টাকার জায়গায় দুই হাজার টাকা হবে।

এতে আরও বলা হয়, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসির উপরে হলে পূর্বনির্ধারিত বিদ্যমান শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন ফি আগের পাঁচ হাজার ৬০০ টাকার জায়গায় তিন হাজার টাকা হবে।

এর আগে, ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ-জাপান যৌথ সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি বাজার মূল্যের ১০ শতাংশের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) মতামত দিতে বলা হয়। এরপর নিবন্ধন ফি কমিয়ে বাজার মূল্যের ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রস্তাব করে বিআরটিএ।

বিআরটিএ প্রস্তাবে  উল্লেখ করে, বিভিন্ন মোটরযানের বিদ্যমান নিবন্ধন ফি সবশেষ ২০১৪ সালে এবং সড়ক কর সবশেষ ২০০৮ সালে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি। সবশেষ ২০০৮ সালে নির্ধারিত সড়ক কর ১০ বছরের এককালীন পরিশোধের পরিবর্তে পাঁচ কিস্তিতে পরিশোধের নিয়ম করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কিস্তি যানবাহন মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সময় নিয়ে নেওয়া হয়। এ কারণে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সময় সব কর ও ফি মোট বাজার মূল্যের ১০ ভাগের মধ্যে নির্ধারণের জন্য শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন ফি পুনর্নির্ধারণ করা যায়।

প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর নিবন্ধন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

বিআরটিএ-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৫৩৪টি। গত ১০ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। ২০১০ সাল পর্যন্ত সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি।

প্রতিবছরই মোটরসাইকেলের নিবন্ধন বেড়েছে। ২০১৯ সালে চার লাখ এক হাজার ৪৫২টি মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছিল। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে দুই লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৭টি।

এসএইচআর/এফআর