করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তরা সবাই সুস্থ আছেন। তাদের মধ্যে কারো কোনো জটিলতা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অনেকে আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন বলেও জানানো হয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ওমিক্রন বিভিন্ন দেশেই রোগী বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। দেশেও রোগী বাড়ছে, তবে আশা করছি সবাই মিলে আমরা এটিকে প্রতিহত করতে পারব।

নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে এই পর্যন্ত যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই সুস্থ আছেন। এমনকি তাদের অনেকে বাড়িও চলে গেছেন। সুতরাং ওমিক্রন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।

তিনি বলেন, শুধু ওমিক্রন নয়, করোনায় আক্রান্ত যে কেউ যথাসময়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ নিন। তথ্য গোপন না করে চিকিৎসা নিলে করোনা মোকাবিলা করার কাজটি সহজ হয়ে যায়। রোগীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের অনেক তথ্য শেয়ার করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, সবার সক্রিয় সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমরা গত দুবছর যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, চলতি ২০২২ সালেও তা অব্যাহত রাখতে পারব। আশা করি, আমরা এই মহামারিকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে গত দুই মাসে সংক্রমণের হার ২ শতাংশ বা তার নিচে ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে শনাক্তের হার একটু একটু করে বাড়ছে। ২ জানুয়ারি ৫৫৭ জন রোগী শনাক্ত হলেও ৮ জানুয়ারি সেটা ১ হাজার ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে থাকলেও এটি এখন প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, গত সাত দিনে ছয় হাজার ৩০০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে তিন হাজার ৩৭৬ জন বেশি। শতকরা হিসাবে গত সপ্তাহের তুলনায় ১১৫ শতাংশের বেশি রোগী এ সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে। গত সাত দিনে করোনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

ওমিক্রনে দেশে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ জন বলে জানা গেছে।

টিআই/জেডএস