হাতিরঝিল-আমুলিয়া-ডেমরা সড়ক এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করতে চুক্তি
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে হাতিরঝিল-আমুলিয়া-ডেমরা সড়ক এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার লক্ষ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
রোববার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পক্ষে সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সহযোগী সংস্থা চীনা কনসোর্টিয়ামের পক্ষে ফ্যাং মিং চুক্তিতে সই করেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সংসদ সদস্য এনামুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর। এছাড়া চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান বলেন, এ বছর পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।
সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের আগে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেখতে হবে জনভোগান্তি হয় কি না। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জনভোগান্তি কমানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের উন্নয়ন হতে হবে সমন্বিত এবং সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় দেশে চার হাজার কিলোমিটারের মহাসড়ক রয়েছে। এসব মহাসড়ক ধীরে ধীরে আধুনিক করা হবে এবং উন্নত করা হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিল থেকে ডেমরা পর্যন্ত সড়ক ও মহাসড়ক ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর তা ১৩ কিলোমিটার হবে। ১ ঘণ্টার বদলে মহাসড়কে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলাচলে সময় লাগবে ১০ মিনিট। এটি ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে। কাজ শুরুর পর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে লাগবে প্রায় চার বছর। প্রকল্পে চায়না কমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের কনসোর্টিয়াম ২ হাজার ৯৪ কোটি টাকা দেবে। বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকা দেবে।
পিএসডি/এসএসএইচ