সময় তখন প্রায় দুপুর ১২টা। গুলশান-১ এর ১৩০ নম্বর রোডে একটি ভবনের সামনে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়টি গাড়ি। বেজেই চলেছে সাইরেন। চলছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ব্যাপক তৎপরতা। কেউ গাড়ি থেকে আগুন নেভানোর পানির পাইপ নিয়ে ভবনের ভেতরে ছুটে যাচ্ছেন, কেউবা ভবনের ভেতর থেকে হতাহতদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে গাড়িতে তুলছেন। ভবনটির সামনে অসংখ্য উৎসুক মানুষের ভিড়।

এমন চিত্র দেখে প্রথমেই ভয় পেয়ে যান পথচারী, এলাকাবাসীসহ আশপাশের সবাই। ততক্ষণে গুলশানের-১ এর ১৩০ নম্বর রোডের ১ নম্বর ভবন ঘিরে উৎসুক মানুষের ব্যাপক ভিড় জমে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানালেন এটা আসলে মহড়া। অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে, আশপাশের সবাইকে কেমন ভূমিকা পালন করতে হবে তা জানাতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের এই ইউনিটের দায়িত্বে থাকা ইউনিট টিম লিডার মাহমুদুল হাসান এসময় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে আপনাদেরসহ আশপাশের সবার কী ভূমিকা থাকবে, ছোট ধরনের আগুন হলে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ঘরে থাকা অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের মাধ্যেমে উৎস থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলসহ সার্বিক বিষয় জানাতে আমরা এই মহড়ার আয়োজন করেছি। সবাইকে শিখিয়ে দিচ্ছি করণীয় এবং ব্যবহার বিধি। পাশাপাশি আমাদের টিমের সদস্যদের জরুরি মুভমেন্ট, করণীয় বিষয়েই আমাদের আজকের এই তৎপরতা।

হাসিবুর রহমান নামে এক পথচারী জানালেন, দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসা, ভবনের সামনে মানুষের ভিড়, সব কিছু দেখে তিনি ভেবেছিলেন ভবনে আগুন লেগেছে। কিন্তু পরে এসে বুঝলেন এটা ফায়ার সার্ভিসের মহড়া।

 

তিনি বলেন, আমার মতো আশপাশের সব মানুষই ভেবেছে বড় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আমাদের আগুনের ঘটনা ঘটলে কী করতে হবে, প্রাথমিক আগুন কিভাবে নেভাতে হবে এসব বিষয়ে হাতে কলমে শেখালেন। প্রতিটা মানুষেরই এ বিষয়গুলো শিখে রাখা উচিত। তাহলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ভয়বহতার মাত্রা অনেকাংশেই কমে আসতে পারে।

এএসএস/এনএফ