পঞ্চম ধাপে ৭১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভোটের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউপি ভোটের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ এ শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হবে।

ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পঞ্চম ধাপে ৭১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘সিনিয়র সহকারী জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং ‘যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ’ এবং ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৩ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে চতুর্থ ধাপে ৭১০টি ইউপি নির্বাচনের সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে। কোনো মামলা দায়ের হলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা হওয়ার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে।

নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে তিনি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। আপিল দায়ের হলে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

এসআর/এমএইচএস