ধানমন্ডি লেকে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ওয়াকওয়ে করছে ডিএসসিসি
ধানমন্ডি লেকের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) দখল করে অনুমোদনহীন ও অবৈধভাবে নির্মিত ভবন উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। উচ্ছেদের পর লেকপাড়ের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সেতু সংলগ্ন স্থান হতে ১৪/এ নম্বরের ডিপিডিসির সাব-স্টেশন পর্যন্ত অবৈধ দখল মুক্ত করে হাঁটার পথের কাজ করছে ডিএসসিসি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ধানমন্ডি লেকপাড়ে উচ্ছেদকৃত স্থানসমূহ পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি লেকপাড়ের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সেতু সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়ি হতে ১৪/এ নম্বরের ডিপিডিসির সাব-স্টেশন পর্যন্ত অবৈধ দখল মুক্ত করে হাঁটার পথ সৃষ্টি করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডি-৩২ নম্বর সংলগ্ন লেকপাড় দখল করে বর্ধিত করা অবৈধ ১০ ফুট বর্ধিতাংশের পুরোটা এবং ধানমন্ডি-১৪/এ এলাকায় লেকমুখী রাস্তার জায়গা দখল করে নির্মিত ডিপিডিসির ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৪ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট আয়তাকার অবৈধ ভবনে স্থাপিত সাব-স্টেশনের পুরো অবৈধ বর্ধিতাংশ স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে ভেঙে ফেলে।
লেকপাড়ে গণপূর্ত অধিদফতরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অনুমোদনহীন অবৈধ আধা-পাকা ভবন হতে সেখানে বসবাসরত বাসিন্দারা সরে গেলেও অবৈধভাবেই নির্মিত অবকাঠামো থেকে যাওয়ায় তা গতকাল উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও ব্যক্তিমালিকানাধীন ১৫টি ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ওয়াকওয়ে সৃষ্টির কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে গতকাল (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী অভিযানে আধা-পাকা এই ভবনের ৩৫টি কক্ষ উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ধানমন্ডি লেক ঘিরে জনগণের হাঁটার পথ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আমরা অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে লেকের জায়গা দখল করে নির্মিত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করি। সে সময় গণপূর্ত অধিদফতরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অনুমোদনহীন ও অবৈধ ভবনে বসবাসরত বাসিন্দারা ১৫ দিন সময় প্রার্থনা করেন। সেখানকার বাসিন্দাদের প্রায় সকলেই ইতোমধ্যে সেখান থেকে সরে গেলেও তাদের বিদ্যমান অবৈধ অবকাঠামো থেকে যায়। ফলে, ওয়াকওয়ে সৃষ্টির কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় আজকে অভিযান চালিয়ে আমরা সেই অবৈধ অনুমোদনহীন অবকাঠামো উচ্ছেদ করেছি আমরা।
এএসএস/আইএসএইচ