বিকাশ কর্মীকে কুপিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ১৯ মামলার আসামি সাত্তার শাহ ডিপজলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় দুই পাঠাও চালক ও ডিপজলের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) গ্রেফতারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কবির হোসেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার হওয়া বাকি আসামিরা হলেন : ডিপজলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৭), রাজু দেবনাথ (৩৬) ও আব্দুল্লাহ্ আল মারুফ (২২)।
পুলিশ কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া শফি হাজীর ব্রিক ফিল্ডের সামনে পাকা রাস্তায় তিন ছিনতাইকারী বিকাশের সেলস অফিসার মো. আসলামের টাকার ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করে। টাকার ব্যাগ কেড়ে নিতে না পারায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসলামের হাতের কব্জিতে একাধিক আঘাত করে তারা। এতে তার দুই হাতের কব্জির রগ কেটে যায়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিকাশের পতেঙ্গা জোনের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস সুপারভাইজার মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আফতাবউদ্দিন মজুমদার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সাত্তার শাহ ডিপজল ও রাজু দেবনাথকে শনাক্ত করেন। পরে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের খালপাড়ের ডিপজলের ভাড়া বাসা থেকে ১টি এলজি, ১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ৫টি ১ হাজার টাকার জাল নোট ও ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রিতে সহায়তা করায় ডিপজলের স্ত্রী রোজিনা বেগমকেও গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ইপিজেড থানায় তিনটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
পরে আসামি রাজু দেবনাথের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেল সরবরাহকারী আব্দুল্লাহ্ আল মারুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, ঘটনায় জড়িত আসামি রুবেল এবং মাহফুজ পেশায় বাইকচালক। তারা পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে ভাড়ায় বাইক চালান। বাইক চালানোর পাশাপাশি রুবেল নগদ টাকার বাহককে খুঁজে বেড়াত। একসময় সে জানতে পারে ভিকটিম আসলাম পতেঙ্গা মডেল থানাধীন মাইজপাড়ায় নগদ টাকা সংগ্রহ করেন। তার দৈনিক কালেকশন ৩ লাখ টাকার বেশি। বিষয়টি সে সহযোগী বাইকচালক মাহফুজকে জানায়, মাহফুজ রাজু দেবনাথকে জানায়, আর রাজু দেবনাথ সাত্তার শাহ ডিপজলকে জানায়। ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোটরসাইকেলযোগে সাত্তার শাহ ডিপজল, রাজু দেবনাথ ও মাহফুজ মাইজপাড়া কন্ট্রোলের মোড় এলাকায় অবস্থান নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা আসলামকে পেছন থেকে আক্রমণ করে। ব্যাগ কেড়ে নিতে না পেরে আসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
কেএম/এসকেডি