ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৮ লাখ ১ হাজার ৫২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে টুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক এবং লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাশ ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি মো. শাহজাহান দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি তার নামে ২ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকার স্থাবর ও ৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৮ টাকার সম্পদের ঘোষণা প্রদান করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। আসামি মো. শাহজাহান, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার ১২৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মো. শাহজাহান সর্বমোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন এবং একই সময়ে তিনি মোট ১২ লাখ ৪৮ হাজার ২০১ টাকা পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। অর্থাৎ পারিবারিক ব্যয় ও অন্যান্য বায়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩ টাকা। এক্ষেত্রে আসামি মো. শাহজাহানের অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার বৈধ আয়ের উৎস ৭৮ লাখ ১ হাজার ৫২০ টাকা কম পাওয়া যায়। অর্থাৎ আসামি মো. শাহজাহান অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৮ লাখ ১ হাজার ৫২০ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাতসারে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক উক্ত সম্পদ স্থানান্তর হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

কেএম/এসকেডি