রাজধানীর দারুসাসালাম থানাধীন জহুরাবাদের বেড়িবাঁধ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরুল আমিন তপু (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভিকটিমের পূর্ব-পরিচিতরা তাকে অপহরণের পর ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অপহরণকারীরা।

অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগ। গ্রেফতাররা হলেন মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্লা।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুসসালাম, মিরপুর মডেল ও শাহআলী থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি মিরপুর।

এ বিষয়ে ডিবি মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২ জানুয়ারি ভিকটিমের চাচা দারুসসালাম থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। জিডির পর অপহরণকারীরা ভিকটিমের মুক্তির জন্য তার চাচার কাছে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমের চাচা দারুসসালাম থানায় আবার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম। মামলাটির তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেফতাররা ভিকটিমকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এরপর ভিকটিমের মরদেহ জহুরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানায়, তারা ভিকটিম তপুর পূর্বপরিচিত। অপহরণকারীরা জহুরাবাদ এলাকায় ইমরানের ভাড়া বাসায় ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে সুকৌশলে অপহরণ করে। অপহরণের পর তার মুক্তির জন্য ভিকটিমের চাচার কাছে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে ইমরানের বাসায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ভিকটিমের মরদেহ বস্তাবন্দী করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতারদের দেখানো জায়গা থেকে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ পরে অভিযুক্তদের অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। 

এমএসি/এসকেডি