নৌবাহিনীর চাকরি থেকে বহিষ্কার হওয়ার তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন মো. কবির হোসেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দুদকের চাকরি থেকেও বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। 

রোববার (২ ডিসেম্বর) চাকরি থেকে অপসারণের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। তিনি বলেন, শিক্ষানবিস ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর মো. কবির হোসেনকে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৫৪(১) অনুযায়ী ১ মাসের বেতন দিয়ে চাকরির অবসান ঘটানো হয়েছে।

জানা গেছে, মো. কবির হোসেন ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর পদে দুর্নীতি দমন কমিশনে যোগদান করেন।  ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১১(খ) নং শর্তে বলা হয়েছিল, যদি কোনো প্রার্থী সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে থাকেন তবে তিনি আবেদন করার যোগ্য বিবেচিত হবেন না।

সম্প্রতি ভোলার পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা থেকে দুদককে জানানো হয়, কবির হোসেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করতেন। ২০১৭ সালে চাকরিচ্যুত হন। 

বিষয়টি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঢাকা অফিসে চিঠি পাঠায় দুদক। এতে জানা যায়, কবির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার কারণে নৌবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে তাকে নৌবাহিনীর চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সার্বিক বিষয়টি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) মো. কবির হোসেনের চাকরির অবসান ঘটায়। 

আরএম/এইচকে