ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিটি তরুণই সম্ভবনাময়, প্রতিটি তরুণই চেইঞ্জমেকার। তরুণরা রুখে দাঁড়ালেই সমাজ থেকে সব অন্যায় ও অবিচার উঠে যাবে। তাই দেশ ও দশের কল্যাণে সামাজিক আন্দোলনে তরুণদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

শনিবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানী বিটিসিএল মাঠে বিডি ক্লিন আয়োজিত ‘সেভ আর্থ, সেভ বাংলাদেশ’ প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবেশ দূষণরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিডি ক্লিন সদস্যরা সারাদেশের রাস্তাঘাট থেকে সংগৃহীত পরিবেশ দূষণকারী ৫ কোটি পরিত্যক্ত সিগারেট ফিল্টার এবং ৩০ লাখ প্লাস্টিক বোতল দিয়ে যে অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সেভ আর্থ, সেভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীটির স্লোগান হলো ‘প্লাস্টিক সামগ্রী ও ধূমপান পরবর্তী ফিল্টার দূষণরোধে হতে হবে সচেতন, চলুন মিলেমিশে গড়ি বাসযোগ্য বাংলাদেশ, করে অতীব যতন’, যা সময়োপযোগী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নিজেদের সুস্থতার জন্যই ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করতে তামাকজাত পণ্যের উপর কর বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবহৃত প্লাস্টিকজাত পণ্য ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে তা পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জলাবদ্ধতারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই প্লাস্টিকজাত পণ্যের রিসাইক্লিং নিশ্চিত করতে হবে।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তমিশ্রিত বাংলার পবিত্র মাটিকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে অপরিচ্ছন্ন করা যাবে না। নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং সবাই মিলে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, জাতীয় সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ উল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস