আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির কার্যকলাপ আপনারা দেখেছেন। একটি আসন থেকে চারজনকে নমিনেশন দিয়েছিল বিএনপি। একজন থাকবে, আরেকজন যাবে, আর না হলে পয়সা দেবে। যে বেশি পয়সা দিয়ে নির্বাচন করতে পারে। নির্বাচনী আসন যেন ওয়াকশনের বিষয় হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওভারসিস করসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ওকাব টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালের ভোট আমি ও আপনারা দেখেছেন। হ্যাঁ-না ভোট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ভোট দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ২০১৪ সালে আমি নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার নিজের তোলা ছবি আছে, মানুষ ভোট দিতে গেছেন। আমি দেখাতে পারব। যখন আমি নির্বাচন করেছিলাম তখন জনগণের কাছে আমার বার্তা ছিল, আমার বিরুদ্ধেও হলেও ভোট দেন, ভোট কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করুন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও আমরা চেষ্টা করেছি যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসে।

আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের কেন্দ্রে মানুষ না আসার কালচার কবে থেকে চালু হয়েছে, এটা আমার মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। মানুষ মনে করেছে, আমার আর ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যা যা করা দরকার, এই সরকার তা করার চেষ্টা করছে। এখন কোনো দল নির্বাচনে এসে আমাদের সঙ্গে কন্টেস্ট করে না।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সরাসরি সাংবাদিকদের আটক করা যাবে না বলে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা হচ্ছে এ রকম মামলা করলে একজন সাংবাদিককে ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট করা যাবে না। তাকে হয় সময় দিতে হবে। আর মামলা নেওয়ার পরে তাকে সুযোগ দিতে হবে, যেন তিনি কোর্টে এসে জামিন চাইতে পারেন। পলাতক হয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। ইমিডিয়েটলি তাকে অ্যারেস্ট করা যাবে না, যতক্ষণ না তদন্ত শেষ না হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টে কমপ্লেইন থাকলে একজন সাংবাদিককে কারাগারে নেওয়া যাবে না। এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি এবং আপনারা দেখেছেন গত ৬ মাসে এ রকম ঘটনা ঘটেনি।

এমএইচএন/ওএফ