লঞ্চে আগুন : ক্ষতিগ্রস্তদের সারাজীবন চলার সহায়তা প্রদানের দাবি
সম্প্রতি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঘটে যাওয়া লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে সারা জীবন চলার মতো আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) ১৫ সংগঠন। আর এসব অর্থ মালিকসহ দায়ীদের কাছ থেকে আদায় করার ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
‘নিরাপদ নৌ-চলাচলের জন্য নৌ-অগ্নিকাণ্ডে মালিকসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নৌযান মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করো’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য তুলনামূলক সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ার কারনে মানুষ নৌপথকে গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। নৌপথের গুরুত্ব বিবেচনা করে অন্যান্য দেশ যাতায়াত ব্যবস্থাকে আধুনিক ও নিরাপদ করলেও আমাদের দেশে নৌপথের নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। আমাদের বিভিন্ন নৌ-রুটে অসংখ্য যাত্রী ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করছে এবং প্রায় দুঘর্টনায় শিকার হচ্ছে। বারবার আমাদের দেশের নৌপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। অহরহ নৌপথে দুঘর্টনা ঘটছে এবং ভোগান্তি হচ্ছে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। শত শত প্রাণ হারালেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরাজ করছে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থাপনায়।
তারা আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে নিহত হয় ৪৪ জন, হাসাপাতালে নেওয়া হয়েছে শতাধিক জনকে। এইসব দুঘর্টনা মেনে নেওয়া যায় না। নৌ-পরিবহন অধিদফতর ইতোমধ্যে প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে; এটা ভালো উদ্যোগ। আমরা চাই দুঘর্টনায় প্রাণ হারানো এবং আহত ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে লঞ্চে মালিকসহ দায়ীদের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করার জন্য এবং সারা জীবন চলার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলন সদস্য সচিব আমিনুর রসুল, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষাকারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিশ কুমার দে, মানবাধিকার সংরক্ষণ ফোরামের মহাসচিব মাহবুল হক, মৃত্তিকার সভাপতি খাদিজা খানম, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের প্রধান সমন্বয়ক রোজিনা আক্তার, নোঙ্গরের সভাপতি সুমন শামস প্রমুখ।
এমএইচএন/এনএফ