অবসরপ্রাপ্ত পাটকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনশনের হুঁশিয়ারি
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটিসহ সব পাওনা অবিলম্বে পরিশোধসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তা সমন্বয় পরিষদ। দাবি আদায় না হলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিজেএমসি প্রধান কার্যালয়ের সামনে গণঅনশনের হুঁশিয়ারিও করেছে পরিষদটি।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি ও হুঁশিয়ারির কথা জানান পরিষদের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিজ্ঞাপন
পরিষদের অন্য ২টি দাবি হচ্ছে— যে সকল অডিট আপত্তিসমূহ অনিষ্পত্তি আছে তা আগের সংস্থার নিয়ম মোতাবেক নিষ্পত্তিপূর্বক পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা এবং যে সকল মামলা-মোকদ্দমা অনিষ্পত্তি আছে তা নিষ্পত্তিপূর্বক পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল করপোরেশনের ২ হাজার ৫০০ জন কর্মচারী-কর্মকর্তা ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে ন্যায়সঙ্গত পাওনা, গ্র্যাচুইটি, ভবিষ্যৎ তহবিলসহ (পিএফ) অন্যান্য পাওনাদি পায়নি। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার দীর্ঘ সময় পরও ভুক্তভোগীরা তাদের জীবনের শেষ সম্বল না পেয়ে ২০০-২৫০ জন বিনা চিকিৎসায়, খাদ্যাভাবে অর্ধাহারে মারা যান। এমনকি পাওনাদার অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রায় ৭০-৮০ জন নমিনিও মারা গেছেন। বর্তমানে অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবার পরিজনের অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে ও নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকু করতে পারছেন না। জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগ সময় বিজেএমসির চাকরিতে অর্পিত দায়িত্বগুলো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এখন পর্যন্ত মাথা গোঁজার ঠাইটুকু করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার পরও আমাদের ন্যায্য পাওনাদি না পাওয়ায় আমরা এখন নিরুপায়। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আর দাবি আদায় না হলে গণঅনশন করতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের আহ্বায়ক মো. ইসরাফিল খানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/আইএসএইচ