শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কবিতা-গানের মাধ্যমে অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উজ্জীবিত করতে হবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কাজটা শুধু রাজনীতিবিদদের নয়। এজন্য সবাইকে প্রতিদিন সতর্ক থাকতে হবে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ সংগীত পরিষদের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ উদযাপন' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে স্বাধীনতার পর থেকে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। এখনও পদে পদে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি, পঁচাত্তরের খুনি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনাকারী, ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীরা এখনও দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যখন কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে হিন্দি গান শুনি, সেটি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া ও কষ্ট দেয়। বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের তালে তালে আমাদের ছেলেমেয়েরা নাচে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেখানে বি-জাতীয় সংস্কৃতি লালন-পালন করছি।

মন্ত্রী বলেন, শুদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা এবং আবহমান বাংলার গান চর্চা আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবার কারণে এবং বি-জাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণে তরুণ সমাজের আগ্রহের কারণে হুমকির সম্মুখীন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সে চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম হব। আগামীর ভবিষ্যৎ হচ্ছে বাংলাদেশের। আমাদের প্রত্যাশা, সবাই দেশমাতৃকার জন্য কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হলে তাকে যথার্থ সম্মান দেওয়া হবে।

সংগীত পরিষদের মহাসচিব ফেরদৌস হোসেন ভুইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম আশিকুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এএজে/জেডএস