ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। তিনি এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) গ্রেফতারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে র‍্যাব।

আরও পড়ুন : অগ্নিকুণ্ড থেকে যেভাবে ফিরলেন নার্সিং শিক্ষার্থী মুক্তা

সকালে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকালে কেরানীগঞ্জে আমাদের একটি অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিককে গ্রেফতার করা হয়।’

এর আগে অগ্নি দুর্ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রোববার দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এই পরোয়ানা জারি করেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মধ্যে ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জোহর আলী।

এ ঘটনায় লঞ্চ মালিক হামজালাল শেখসহ ২০-২৫ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বাদী হয়ে বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম আবেদন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

আরও পড়ুন : মৃত্যুতেও আলাদা হয়নি মা-মেয়ে, কবরও একসঙ্গে

অন্যদিকে রোববার দুপুরে নৌপরিবহন অধিদফতরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলা করেন অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন— লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক হামজালাল শেখ, শামিম আহম্মেদ, রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।

এমএসি/এসএসএইচ