স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর গর্বিত জাতিকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে নদ-নদী রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

আজ (রোববার) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ থেকে ছেড়ে যাওয়া পরিদর্শী জাহাজে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু : শাশ্বত বাংলার প্রতিরূপ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।  

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মানুষের শিরা-উপশিরা দুষিত হলে শুকিয়ে গেলে মানুষ যেমন রুগ্ন হয়, তেমনি নদী দুষিত হলে, দখল হলে, শুকিয়ে গেলে বাংলাদেশটাও শুকিয়ে যায়, দুষিত হয়ে যায়। তাই নদী রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে নদীকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথা ভাবতেন, সেই পথ ধরেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতোমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে এবং আরও নদীপথ উদ্ধারের জন্য ড্রেজার ও জাহাজ কেনা হয়েছে। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিমন্ত্রী নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 

নৌপথ উদ্ধারের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের বড় নদীগুলোর ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’র ৯৩ শতাংশ বাংলাদেশের বাইরে; ভারত, ভুটান ও নেপালে। আর ৭ শতাংশ বাংলাদেশের ভূমিতে। তাই নৌপথ উদ্ধারের পরিকল্পনা আন্ত:দেশীয় পরিকল্পনার অংশ হতে হবে। 

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মুসা, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমেদ শামীম আল রাজী, বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

পিএসডি/এইচকে