মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের অর্থ লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ
সম্প্রতি কর্মী পাঠানো নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই করেছে বাংলাদেশ। এমওইউ সই হলেও কর্মী প্রেরণ শুরু করতে এখনও অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাকি। তাই কর্মী হিসেবে দেশটিতে গমনেচ্ছুদের বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা না দেওয়ার আগে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করেছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এই অনুরোধ জানিয়েছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বিজ্ঞাপন
হাইকমিশনের বার্তায় বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সরকারি ঘোষণার আগে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে ঢাকার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে হাইকমিশন।
গত ১৯ ডিসেম্বর শ্রমবাজার নিয়ে কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান নিজ নিজ দেশের পক্ষে এমওইউ সই করেন।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে এমওইউ সই করার দুদিন পর গত ২১ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ইমরান মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা দেওয়ার আগে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।
ইমরান বলেছিলেন, এটা খুব দুঃখজনক যে আর্থিক লেনদেনের কথা শুনছি। এখনও মার্কেট খোলেনি। এমওইউ হয়েছে। গরিব মানুষের ওপর এখনই অত্যাচার। এটা ঠিক না। তাদেরকেও একটু সচেতন হতে হবে।
ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানান, এখনও কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ে আলাপ বাকি আছে। সব সুরাহা হওয়ার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হবে। সেই ঘোষণা মন্ত্রণালয় থেকেই দেওয়া হবে। তার আগে দালালের মাধ্যমে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ করছি সবাইকে।
দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ থেকে সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।
এনআই/জেডএস