কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। আনারস প্রতীকের এই প্রার্থী নিজের ভোটও দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। 

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শফিকুল ইসলাম নিজে। 

তিনি বলেন, নিজের ভোট পর্যন্ত কেন্দ্রে গিয়ে দিতে পারিনি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন আমাকে কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। 

শফিকুল ইসলাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা বলে জানা গেছে। 

এদিকে শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি মো. শফিকুল ইসলাম ৫ নম্বর হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন আমার ঘরে বারবার পুলিশি অভিযান, কর্মীদের একতরফাভাবে গ্রেফতার, কোনো কেন্দ্রে আমার এজেন্ট বসতে না দেওয়া, একতরফা নৌকা প্রতীকে ভোটগ্রহণ এবং আমার নিজের ভোট পর্যন্ত দিতে না পারায় আমি এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করলাম।’ চিরকুটের বিষয়টিও নিজের বলে স্বীকার করেছেন শফিকুল। 

এখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফৌজুল কবির। তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা যায়নি। 

এই ইউনিয়নে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

উল্লেখ, পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটিতে বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তবে এসব ইউনিয়নের মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পটিয়ায় চেয়ারম্যান পদে ৪৬ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পটিয়ার কুসুমপুরা ও হাবিলাসদ্বীপে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। 

চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী ও লোহাগাড়া উপজেলার ২৭ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। 

কেএম/এইচকে