ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ও জিরি ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। 

রোববার সকাল ১০টার দিকে ভোটগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইন। 

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ছনহরা ইউনিয়নের দুটি ও জিরি ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এগুলোতে আবার পরে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। 

জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রমেশ ফনিন্দ্র স্মৃতি পাঠাগার, ৮ নম্বর ধাউরডেঙ্গা সারদাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় ও জিরি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাইজায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কোন প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট ছিনতাই করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী ও লোহাগাড়া উপজেলার ২৭ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। পটিয়ার তিনটি, লোহাগাড়ার দুটি ও কর্ণফুলীর এক ইউনিয়নে আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। তবে এসব ইউনিয়নের মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের মেম্বার পদে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  

পটিয়ার কুসুমপুরা ও হাবিলাসদ্বীপে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৬ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এদিকে, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. এয়াছিনের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী মো. এয়াছিন। প্রিজাইডিং অফিসার মো. আবদুল মান্নান বলেন, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট ছিল। কিন্তু ভোট শুরুর ১৫ মিনিট পর তাদের আর দেখিনি। তারা কেন চলে গেছেন বলতে পারছি না।

কেএম/আরএইচ