রাজধানীর লালবাগ থানার কামরাঙ্গীরচর মৌজার শহীদ নগর এলাকায় গত ২৩ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযানের মাইকিং করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)। এ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শহীদনগর এলাকাবাসী।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. সাগীর আহম্মেদ সুজন বলেন, সিএস, এসএ, আরএস, ঢাকা সিটি জরিপসহ সব বিষয় আমরা যারা এলাকাবাসী, সবার নামে রেকর্ড হয়। আমরা নিয়মিত সরকারের সব উন্নয়নের কর পরিশোধ করি। দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর যাবত আমরা এখানে ইমারত ও সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে পাঁচ-সাত হাজার পরিবার সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি। হঠাৎ গত ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষে বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদের অভিযানের কথা জানিয়ে মাইকিং করা হয়। সেখান থেকে আমরা জানতে পারি, আগামী ২৬ ডিসেম্বর সকালে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ আমাদের পক্ষে জজ কোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি হিসেবে আদেশ আছে।

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ শাজাহান বলেন, আমারা এখানে দীর্ঘসময় ধরে বসবাস করে আসছি। নিয়মিত গ্যাস, বিদুৎসহ অন্যান্য সরকারি বিল দিয়ে আসছি। হঠাৎ ২৩ ডিসেম্বর মাইকিংয়ের মাধ্যমে ঘোষণা করা হলো আমাদের বাড়ি ঘর অবৈধ এবং আমাদের এ এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। মাইকিংয়ে বলা হয়, এটা সরকারের জায়গা। সরকারের দরকার, তাই আমাদের ছেড়ে চলে যেতে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এভাবে হঠাৎ চলে যেতে বলার কোনো মানে নেই। আমরা হাইকোর্টের আদেশক্রমে এখানে বসবাস করছি। আমাদের কিছু সময় দেওয়া হোক। যদি আমাদের কাগজপত্র অবৈধ হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা এখান থেকে চলে যাব। অথচ এ সময়টুকু না দিয়েই আমাদের চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। আমাদের কাছে জমির সব কাগজপত্র আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকাবাসী বলেন, ওই এলাকায় আমাদের প্রায় ৫০ হাজার লোকের বসবাস। তাই এ মানবিক দিক চিন্তা করে উচ্ছেদ অভিযানটি বন্ধ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই কোনো কিছু সম্পন্ন হয় না। তাই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মানববন্ধনে শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এসএসএইচ