চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও তিনটি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপের ইউপি ভোট ২৩ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও পরে ভোটগ্রহণের দিন আরও তিন দিন পিছিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এসব ইউপি ও পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি জানায়, চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও তিন পৌরসভার ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএম এ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ পরিপত্রও জারি করেছে ইসি। একই সঙ্গে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করার লক্ষ্যে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

ইসির তথ্যানুযায়ী, চতুর্থ ধাপে ইউপি ভোটে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য- এ তিন পদে মোট ৪৬ হাজার ৫৭২টি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ হাজার ৯১৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিন হাজার ৫৪৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ হাজার ৮৫০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩১ হাজার ৮০৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৮১৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ হাজার ৫১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩০ হাজার ১০৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

ইসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩৫ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই ধাপে মোট ২৯৫ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬টি রাজনৈতিক দল এই ধাপে প্রার্থী দিয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংখ্যা তিন-চতুর্থাংশ। এর আগে তৃতীয় ধাপে ৫৬৯ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩৬০ জন এবং প্রথম ধাপে ১৩৮ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ছয় ধাপে ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এর মধ্যে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৩টি ইউপিতে ২৮ নভেম্বর, দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপিতে ১১ নভেম্বর, প্রথম ধাপে ৩৬৯ ইউপিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে ইসি। ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি ৭০৭টি এবং ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ২১৯টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এসআর/এসএসএইচ