লঞ্চে ধূমপান বন্ধে ব্যবস্থা, গাফিলতি ছিল কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
কমিশন মনে করে, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ জরুরি ভিত্তিতে অনুসন্ধান করা আবশ্যক। কারও দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পাশাপাশি লঞ্চসহ অন্যান্য যানবাহনে ধূমপান না করার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭৫ জনকে বরিশালের শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে, তবে বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না দগ্ধরা।
কমিশন মনে করে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়া মানবাধিকার। একটা হাসপাতালে বন্ধের দিনসহ সবসময়ই জরুরি সেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। অন্যথায়, এমন মানবিক বিপর্যয়ে জনগণের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জরুরি ভিত্তিতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট খুলে দিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানায় কমিশন।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন করে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে উপযুক্ত অর্থসহায়তা প্রদান সুনিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকেও আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি শহরের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ আগুন লাগে। দ্রুতই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। শীতের রাতে লঞ্চের বেশির ভাগ যাত্রী তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। তিন ঘণ্টার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন লঞ্চের অন্তত ৩৯ জন যাত্রী। আর প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন যারা, তাদের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেইউ/এনএফ