এ মাসে বৃষ্টি এলে আসবে শৈত্যপ্রবাহও
আপতত আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও দেশের কয়েকটি জেলায় আগামী ২৮-২৯ ডিসেম্বর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে শীত বাড়বে। কম হলে আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হালকা ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। আর বৃষ্টির ফলে যেহেতু মেঘ থাকবে, সেহেতু তাপমাত্রা বাড়বে। যদি বৃষ্টি বেশি হয়, তাহলে কিছু কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা আছে। আপতত যে পরিস্থিতি আছে, সেই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা কমার চেয়ে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘বর্তমানে দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। আজকের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। নদীর অববাহিকায় যেসব অঞ্চল আছে, সেখানে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশা থাকতে পারে। অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।’
এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তাপমাত্রা বাড়তে বা কমতেও পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের শীতলতম মাস হচ্ছে জানুয়ারি। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি জানুয়ারির ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তারপর তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, ক্লাইমেটলজি’র কথা চিন্তা করলে, বর্তমানে সমুদ্র গরম অবস্থায় আছে। তাই দেশের আবহাওয়া শুষ্ক আছে। সমুদ্রের আবহাওয়া গরম থাকায় উত্তরাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য শীত পড়েনি। জানুয়ারিতে কিছুটা শীত আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় হয়ত কম। জানুয়ারিতে হালকা থেকে মাঝারি এক থেকে দুইটি শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।’
এসআর/এমএইচএস