আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ঢাকা শহরের পুরো গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) নগরীর শংকরে  ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আপনারা জানেন আমাদের বাস রুট রেশেনালাইজেশনের কার্যক্রম চলছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের যে যাত্রী ছাউনি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাস-বে নির্মাণ করা করা হচ্ছে, আমরা সেগুলো পরিদর্শন করছি। নতুন নকশায় নান্দনিক এই যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছি। আমরা আশাবাদী, আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে এই যাত্রাপথে সূচনার মাধ্যমে ঢাকা শহরের পুরো গণপরিবহনে একটি শৃঙ্খলা ফিরে আসা শুরু করবে।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের যেসব অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মিলে আমরা দ্রুত কাজগুলো সম্পন্ন করছি। আশা করি, আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই এর পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ঢাকাবাসী এর যথাযথ সুফল পাবে।

তিনি আরও বলেন, ধানমন্ডি ও শংকর এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিল, এখানে একটি পথচারী পারাপার সেতু নির্মাণের। এটা দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল, অনেকটা বাতিল অবস্থায় ছিল। আমরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করতে পেরেছি। সেজন্য এলাকাবাসী অনেক আনন্দিত।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব, আমরা পথচারী সেতুসহ যেসব অবকাঠামোগুলো নির্মাণ করি, রাস্তা পারাপারে সেগুলো যেন ব্যবহার করা হয়। আমরা এরই মাঝে উদ্যোগ করেছি, আমাদের সকল চৌরাস্তাগুলো নিয়ে যান চলাচল ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পথচারী পারাপারের সুনির্দিষ্ট যে জেব্রা ক্রসিং সেগুলোও আমরা নতুন করে করে দিচ্ছি। সুতরাং সুনির্দিষ্ট পথচারী পারাপারে যে জায়গাগুলো সেগুলো ব্যবহার করে, যত্রতত্র যেন রাস্তার ওপর না আসে, রাস্তার উপর দিয়ে যেন না হাঁটে। এগুলো করলে কিন্তু আসলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব, পথচারী পারাপারের যে জায়গাগুলো সেগুলো যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি