পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকা এক শ্রেণির প্রতারকে সয়লাব। তারা জজকোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে ভাড়ায় বাদী সেজে মামলা করেন। মামলার পর গ্রেফতারি পরোয়ানা বের করে তারা পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। এতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হন। এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এশিয়া হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব অভিযোগ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এনামুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিল, স্বাক্ষর ও কাগজ জাল করে সাজানো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এ ধরনের প্রতারক ঢাকার জজকোর্টে সংখ্যায় বেশি। দেশের অন্য আদালতেও এদের বিচরণ আছে।

বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, সারা দেশেই সাজানো ঘটনায় মামলার ধকলে অগণিত মানুষ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মামলার হাজিরা দিতে হচ্ছে, অনেকে জেলও খাটছেন। এক শ্রেণির প্রতারক চক্রের কারসাজিতে মানুষ বিপদে পড়ছেন। এর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন, গণফোরাম নেতা আবদুল রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এমএইচএন/এসএসএইচ