দেশ উন্নত হচ্ছে আর যুক্তরাষ্ট্র পা টেনে ধরছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্র বানানোর জন্য যারা চেষ্টা করছে, তাদের আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি তা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে। তা করতে গিয়ে আমাদের অনেক কৌশল ব্যবহার করতে হয়েছে। বিএনপির কোন নেতাকে আমরা (আওয়ামী লীগ) হত্যা করেছি, তার প্রমাণ দেখাক। কোন বিরোধী নেতাকে আমরা হত্যা করেছি?
তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নিয়ে তারপর তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, জেল দেওয়া হয়েছে। এই দেশ গণতান্ত্রিক দেশ। একটা নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। সংবিধানের ভিত্তিতে আমরা দেশ পরিচালনা করছি।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত এক বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের র্যাব এবং কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা অন্যায় এবং ভিত্তিহীন। আমরা এটার তীব্র প্রতিবাদ করি। বিনীতভাবে অনুরোধ করি, আমরা কোনো হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট করিনি। এখানে আইনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং র্যাব দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। ধর্মীয় জঙ্গিদের মোকাবিলা করার জন্য র্যাব যে সফলতা দেখিয়েছে তা সারা পৃথিবীর জন্য একটা উদাহরণ। আপনারা যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে হয়ত বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। একটা দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আপনারা তাদের পা টেনে ধরছেন। আপনারা এটিকে রিভিউ করে দ্রুত প্রত্যাহার করে নেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১০০টি ইকনোমিক জোনে শিল্প-কারখানা করার জন্য পানি-বিদ্যুৎ সব কিছুই থাকবে। শুধু একজন এসে শিল্প-কারখানা গড়বেন। আমাদের লাখ লাখ ছেলে মেয়ে বেকার। তাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। যদি শিল্পায়ন করতে না পারি তাহলে চাকরি হবে না। কাজেই এ সরকারের লক্ষ্য হলো শিল্পায়ন করে আমাদের লাখ লাখ বেকার ছেলে মেয়েদের চাকরির কর্মসংস্থান করা। তাদের আয় বৃদ্ধি করা ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। এই লক্ষ্য নিয়ে এই সরকার কাজ করছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সংসদ সদস্য এম.এস ফরিদা খানম, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. ফজলে আলী প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি