এমভি বিএনসি আলফা নামে জাহাজে করে ভারত থেকে সিদ্ধ চালের একটি চালান এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সরকারিভাবে আমদানিকৃত চালের চালানে নিম্নমানের চালের বিষয়টি সামনে আসার পর গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) খালাস বন্ধ করে দেয় খাদ্য বিভাগ।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ভারত থেকে এমভি বিএনসি আলফা নামে একটি জাহাজে করে ৭ হাজার ৬০০ টন চাল এনে খালাস শুরু করা হয়েছিল। জাহাজটি থেকে প্রায় ১ হাজার টন চাল খালাসও করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার জাহাজটি থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে মানের চাল আনার কথা বলা হয়েছিল তা না আনায় খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারিভাবে আমদানি করা চালের চালানটি ভারতের নেকফ ইন্ডিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বন্দরের ৩ নম্বর জেটিতে খালাসকালে নিম্নমানের বিষয়টি সামনে আসে।  গত সপ্তাহে চালবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। বুধবার থেকে চাল খালাস শুরু হয়। প্রায় ১ হাজার টনের মতো চাল খালাস করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে চাল খালাসকালে নিম্নমানের চাল দেখা যায়। পরে বস্তা খুলে দেখা যায় চালের মান খুবই খারাপ। এ সময় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জাহাজ থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, চাল খালাস হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট সিএসডি, হালিশহর সিএসডি, সিলেট সিএসডি, কুমিল্লার চকবাজার এলএসডি গুদাম, চাঁদপুরের মতলব এলএসডি গুদামসহ ১০টি গুদামে এ চাল পাঠানো হয়েছে। গুদামে পৌঁছার পর এসব চাল পরীক্ষা করে যদি খারাপ পাওয়া যায় তাহলে পুনরায় জাহাজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তার আগ পর্যন্ত জাহাজটিকে বহির্নোঙরে থাকতে বলা হয়েছে।

কেএম/এসকেডি