দেশে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। একইসঙ্গে কমেছে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরের কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী ভর্তি হতে আসেননি এবং কেউ মারা যায়নি।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এডিস মশাবাহিত এ রোগে ৩১ জন ভর্তি হয়েছিল। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে কেউ মারা যাননি। তবে এই সময়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৯ জন।

অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। অর্থাৎ ঢাকার বাইরের হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কেউ ভর্তি হননি।

এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১৬৮ জন। এরমধ্যে ঢাকার ৪৬টি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৭ জন আর ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ভর্তি আছেন ৬১ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৯৯ জন। এদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৭ হাজার ৮৩০ জন।

কন্ট্রোল ‍রুমের তথ্যমতে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেসময় ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।

টিআই/আইএসএইচ