কোনো প্রকার সিন্ডিকেট ছাড়াই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশটিতে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে ডাটাব্যাংক থেকেই কর্মী পাঠাতে চায় সরকার।

আজ শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমরা জানি, মালয়েশিয়ার বাজার নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীতকে দূর করার চেষ্টা করছি। আমি সফল হবো কি না সেটা নির্ভর করবে সমঝোতা স্বাক্ষরের পর। তবে আমার আগের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটা এখনো আছে। আমি কোনো সিন্ডিকেটের পক্ষপাতী না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে প্রস্তাব পেয়েছি সেখানে সিন্ডিকেটের কোনো বিষয় নাই।’

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রোববার (১৯ নভেম্বর) সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে ঢাকা কুয়ালালামপুর। চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। পরদিন রোববার ঢাকার পক্ষে মন্ত্রী ইমরান এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানকে শ্রমবাজার নিয়ে এমওইউ স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

অভিবাসন ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী ইমরান বলেন, ‘আমরা চাইব কর্মীরা যেন কম অভিবাসন ব্যয়ে সেখানে যেতে পারে।’

সচিব মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘আমরা মালয়েশিয়ায় ডাটাব্যাংক থেকে কর্মী পাঠাতে চাই। মালয়েশিয়া দিয়ে আমরা এ প্রক্রিয়া শুরু করব। ভবিষ্যতে শুধু মালয়েশিয়া নয়, সব দেশেই ডাটাব্যাংক থেকে কর্মী পাঠাতে পারব বলে আশা করছি।’

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ থেকে সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উত্পাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনআই/এইচকে