বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দুইটার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. নাঈম (২২), মো. আসাদুজ্জামান নুর (২৭) ও ফাতেমা বেগম (৩০)। ফাতেমাকে হাটহাজারী থেকে আটক করা হয়েছে, বাকি দুজনকে ঢাকা থেকে। 

আজ শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, ১৪ ডিসেম্বর ভূজপুরের এক ব্যক্তি র‍্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করত। ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির মালিক জানান, মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর পিতা  হাটহাজারী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারির এক পর্যায়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ ডিসেম্বর রাতে  ঢাকার গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আর হাটহাজারী থেকে ফাতেমা নামের আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ উপার্জনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আটক করে রাখার কথা স্বীকার করেছে। আসামিরা মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা একে অপরের সহায়তায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সরলতা, দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে পাচার করে আসছিল।  

কেএম/এইচকে