মুজিববর্ষে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির অংশ হিসেবে ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯৮ জন কেবিন ক্রুকে নিয়োগ দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এদিন নিয়োগের প্রাথমিক স্তর হিসেবে প্রশিক্ষণের প্রস্তাবপত্র দেওয়া হয়। এছাড়াও এদিন ৪২৬ জন সি-নম্বরধারী ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের জি-নম্বর (গ্রাচুইটিভিত্তিক স্থায়ীকরণ) দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের বিভিন্ন কার্যালয়ে নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।

বিমান জানায়, এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন, মতিঝিল জেলা বিক্রয় অফিসসহ সকল অভ্যন্তরীণ স্টেশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন চত্বরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্‌ মোস্তফা কামাল, বিমানের পরিচালকরা এবং বিভিন্ন অ্যসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ এয়ারলাইন্সটির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

এছাড়া বিমানের মসজিদগুলোতে বীর শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং দেশের উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে বলাকা ভবন, মতিঝিল জেলা বিক্রয় অফিসসহ সব অভ্যন্তরীণ স্টেশনসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।     

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, আজ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের এ মাহেন্দ্রক্ষণে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে এবং বাঙালি জাতি একটি স্বতন্ত্র পতাকা লাভ করেছে।

তিনি নতুনদের উদ্দেশ বলেন, শিকড়কে ভুলে যেয়ো না। দেশকে, পরিবারকে, স্বজনদেরকে, গ্রামকে সর্বোপরি মানুষকে ভালোবাসো।” 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে সকলকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।    

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্‌ মোস্তফা কামাল বলেন, আজকের দিনটি বিজয় উল্লাসের দিন, বিজয়ীদের দিন। আজকের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকলকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সেই সঙ্গে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মুক্তিসংগ্রামে সম্ভ্রম হারানো সকল বীরাঙ্গনাদেরকে। স্বাধীনতার মহান আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে সবাইকে দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।       

এআর/আইএসএইচ