পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের প্রচলিত ইটভাটাগুলোকে পরিবেশবান্ধব ব্লক উৎপাদনের জন্য রূপান্তরের কাজ এখনই শুরু করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারি কাজে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রচলিত ইটের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে ব্লক উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদফতরের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এফএএল-জি ইট উৎপাদন, প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ প্রকল্পের কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তফা কামাল বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবেশ সুরক্ষা অন্যতম পূর্ব শর্ত। তাই, মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণকারী প্রচলিত পোড়া ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট অথবা ফ্লাই এশ, লাইম ও জিপসামের তৈরি এফএএল-জি ইটের ব্যবহার করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং  বাংলাদেশ ইটভাটা মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খলিলুর রহমান প্রমুখ। 

এফএএল-জি ব্লকের ওপর উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তু ও ধাতবকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফাহমিদা গুলশান ও অন্যান্য ব্লক প্রযুক্তির ওপর উপস্থাপনা করেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ঢাকার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. আকতার হোসেন সরকার।

এমএইচএন/আইএসএইচ