নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধ, বাল্য বিয়ে বন্ধ এবং কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। এ সময় তিনি এ কথা জানান। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৃথক সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, সমতা অর্জন ও দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, জেন্ডারবেজড ভায়োলেন্স ও বাল্য বিয়ে বিশ্বব্যাপী কন্যা শিশুর উন্নয়নে বড় চ্যালেঞ্জ। নারী ও শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড জানান, তার দেশ চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আম, যশোরের সবজি ও ভৈরবের জুতা উৎপাদনকারী নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে। এ সময় জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।   

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টি ,উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণে সহায়তা দেওয়ার আহবান জানান।

  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস ও যুগ্মসচিব নার্গিস খানম  উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/আইএসএইচ