পরকীয়া, দ্বন্দ্ব অতঃপর বিয়ের দাবি না মেনে হত্যা
আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় গৃহবধূ মারুফা (২৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মামলার মূল অভিযুক্ত হত্যাকারী মো. হাসান হাওলাদারকে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে র্যাব ১ এর একটি দল রাঙ্গামাটির লংগদু থানার ভাই-বোন ছড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব ১ এর সহকারী পরিচালক (অপস. অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর আশুলিয়ার এক ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযুক্ত হাসান হাওলাদার ভুক্তভোগী মারুফা বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে লাশ মারুফার বাসার খাটের উপর ফেলে পালিয়ে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের চাচা হেমায়েত হোসেন (৪০) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব ১। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের একটি দল রাঙ্গামাটি থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আসামি হাসান হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মারুফা বেগম পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং তার স্বামী কুয়েত প্রবাসী। সে নরসিংহপুরের সাকিনস্থ অন্ধ কলোনীতে একটি ভাড়া বাসায় তার ছেলেকে একা বসবাস করত। হাসান হাওলাদার সম্পর্কে মারুফার মামাত দেবর হিসেবে পূর্ব পরিচিত। পরিচয়ের সূত্রে সে প্রায়ই মারুফার বাসায় আসা যাওয়া করত এবং তাদের মধ্যে গত এক বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরবর্তীতে হাসান হাওলাদার গত ৭ ডিসেম্বর রাতে মারুফার বাসায় আসলে তাকে বিয়ে করার জন্য বলে। কিন্তু হাসান বিয়ে করতে সময়ক্ষেপন করায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
ঘটনার দিনগত রাত ১১ টার দিকে ভিকটিমের ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে হাসান মারুফাকে গলা টিপে হত্যা করে লাশ খাটের উপর ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তিনি রাঙ্গামাটি গিয়ে আত্মগোপন করে।
জেইউ/আইএসএইচ