ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য এবং বঙ্গবন্ধুর নামে উদ্যান বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের। এটি বাঙালিদের জন্য অনেক সম্মানের।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু বুলভার্ডের চার রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলামের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মেয়র বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু নিজ দেশেরই নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের গণ-মানুষের মহান নেতা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর। তাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী চলাকালে আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য এবং বঙ্গবন্ধুর নামে একটি উদ্যান উদ্বোধন করতে পারায় একজন বাঙালি হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করেন। ইতোমধ্যেই আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াবাসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, কারিগরি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প ও বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বনানীতে তুরস্কের জাতির জনকের নামে একটি সড়ক রয়েছে, যার নাম কামাল আতাতুর্ক সরণি। সম্প্রতি কামাল আতাতুর্ক সরণি সংলগ্ন পার্কটিও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া এ সফর আঙ্কারার সঙ্গে ডিএনসিসির বিশেষ করে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আঙ্কারার গভর্নর ওয়াসিপ শাহীন, আঙ্কারার ডেপুটি মেয়র সেলিম সিরপান লৌ, আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াভাস, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাসুদ মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএইচএস